অনুভূতি ও চিন্তার অপূর্ব বাস্তবায়নের নবরূপকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং বাংলা সাহিত্য ও যেন একই বৃন্তে ফুটে থাকা দু’টি ফুল। সাহিত্যের গতানুগতিক আদর্শ উৎখাত করে নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবাবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন মাইকেল।নাতিদীর্ঘ জীবনের ভেতর মাইকেল যে আত্মপ্রত্যয় ও আত্মদ্রোহের ছাপ বাংলা সাহিত্যে রেখে গেছেন তা অসাধারন এবং অবিস্মরনীয়।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার আলোকবর্তিকা মাইকেল ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি শনিবার যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী গ্রামে এক ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ছন্দের নানা মাত্রিক পরীক্ষা মিল-বিন্যাস অমিলতা ও যতি স্বাধীনতা দিয়ে মাইকেল বাংলা কবিতার সীমানাকে বহুদূর প্রসারিত করেছে। বাংলা সাহিত্যকে এতদিন যে লোহার বেড়ীর মত পায়ের শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল-সোনার কঠির স্পর্শে মধুসূদন নিদ্রিত রাজকন্যার ঘুম ভাঙ্গালেন। সাহিত্যে শামিষ্ঠা, পদ্মাবতী, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, কৃষ্ণকুমারী, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমা সম্ভব, মেঘনাদ বধকাব্য, ব্রজাঙ্গঁনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য তাঁর অনবদ্য অবদান। তাঁর লেখা বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে আলাদা রূপমাধুর্য্য যা বাঙ্গালীকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। বাংলাসাহিত্যের এ ক্ষণজন্মা পুরুষ মৃত্যু বরণ করেন ১৮৭৩ সালের ২৯,জুন রবিবার।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস